‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার...’ স্লোগান নিয়ে নাহিদ ইসলামের ব্যাখ্যা
ছাত্র-জনতার অভূত্থানের আগে সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত স্লোগান ছিল 'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার'। এই স্লোগান নিয়ে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অধিকাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই রাতে এই স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই স্লোগানের দুই মাসপূর্তি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই স্লোগান নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
নাহিদ লিখেছেন, 'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার' এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাহসী স্লোগান ছিলো।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাস তো একরোখা কোনো বিষয় না।
রাজাকার ইস্যুটিকে পরিকল্পিতভাবে প্রাসঙ্গিক করা হয়েছিল দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার প্রস্তুতি নেওয়া হইছিল। এবং তার ফলশ্রুতিতেই পরদিন মিছিলে হামলা করা হয়। আর এ আন্দোলনে যেহেতু নারী শিক্ষার্থীরা ছিল মূল শক্তি তাই মেয়েদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। তারপরের ঘটনা সকলেই জানেন। ফ্যাসিস্টদের শেষ রক্ষা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ১৫ তারিখ সকালে আমাকে বহু মিডিয়া ফেইস করতে হইছে রাজাকার স্লোগানের ব্যাখ্যা দিয়ে। আমার ব্যাখ্যাটি ছিল অনেকটা এরকম— "রাজাকার শব্দের কোনো প্রাসঙ্গিকতা এই আন্দোলনে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজাকার ইস্যুর অবতারণা করেছেন এবং শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে অপমান করেছেন। প্রতিউত্তরে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে 'রাজাকার' বলে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে বিদ্রুপ করেছে, ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ট্যাগ দিয়ে এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। মূলত আন্দোলনকে দমন করার জন্যই রাজাকার ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে এ বক্তব্য অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে
Comments
Post a Comment